ফ্রিল্যান্সিং খাতে ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। ২০২৪ সালের বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্সটি শুধু বিনামূল্যে প্রশিক্ষণই দিচ্ছে না, বরং প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাতা প্রদান করবে। এই কোর্সের মাধ্যমে দেশের তরুণ সমাজকে দক্ষ করে তোলা এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
কোর্সের উদ্দেশ্য:
এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল স্কিল অর্জন করার মাধ্যমে তরুণরা আন্তর্জাতিক মার্কেটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হবে।
কোর্সের বৈশিষ্ট্য:
- সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ: কোনো প্রকার ফি ছাড়াই এই প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেওয়া যাবে।
- প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাতা: প্রতিদিন প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ২০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে।
- আধুনিক সিলেবাস: কোর্সের সিলেবাসে আধুনিক প্রযুক্তি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ আরও অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত স্কিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক: এই কোর্সে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
- প্রকল্প ভিত্তিক শিক্ষাদান: বাস্তব প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে অংশগ্রহণকারীরা কোর্স শেষে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
কোর্সের মেয়াদ:
প্রশিক্ষণ কোর্সের মোট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মাস। সপ্তাহে ৫ দিন করে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ভর্তির যোগ্যতা:
- ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে।
- বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
- কম্পিউটার বা তথ্যপ্রযুক্তির প্রাথমিক জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
ভর্তির পদ্ধতি:
কোর্সে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে জমা দেওয়ার পর প্রাথমিক বাছাই শেষে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হবে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
দেশব্যাপী বিভিন্ন যুব উন্নয়ন কেন্দ্র এবং ডিজিটাল ট্রেনিং সেন্টারে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তালিকা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
কোর্সের সুবিধা:
এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি অংশগ্রহণকারীদের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়ী। সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারী প্রশিক্ষণার্থীরা:
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করে নিজের উপার্জন শুরু করতে পারবে।
- দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজের সুযোগ পাবে।
- ব্যক্তিগত ব্যবসা বা উদ্যোগ শুরু করার মতো দক্ষতা অর্জন করবে।
- প্রযুক্তি-নির্ভর বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রগুলোতে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পাবে।
উপসংহার:
জুবো উন্নয়ন ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২৪ তরুণদের জন্য এক বিশাল সুযোগ। যারা ফ্রিল্যান্সিং খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী, তারা এই কোর্সে অংশগ্রহণ করে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।